• ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, রবিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Mamata Banerjee

রাজ্য

‘ফাইনাল লিস্ট প্রকাশ করে পরের দিন ভোট ঘোষণা করবে বিজেপি’—মমতার দাবিতে রাজনৈতিক মহলে তোলপাড়

২০২৬-এর নির্বাচনের আগে রাজবংশী ভোটকে নজরে রেখেই কি বড়সড় শক্তি-প্রদর্শন? এসআইআর বিতর্কের উত্তাপের মধ্যেই কোচবিহারের রাসমেলা ময়দানে বিশাল জনসভা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় বঞ্চনা, বন্দেমাতরম বিতর্ক, বিজেপির রাজনীতিএকাধিক ইস্যুতে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। তবে সবচেয়ে বেশি আক্রমণ করেন এসআইআর প্রসঙ্গ নিয়ে।মমতার অভিযোগ, এসআইআর পুরো বিষয়টাই একটি রাজনৈতিক চাল। তাঁর দাবি, আগামী নির্বাচনে সংখ্যালঘু ভোট ভাগ করে দিতে কোটি কোটি টাকা খরচ করে এই পরিকল্পনা করেছে বিজেপি। মঞ্চ থেকে বলেন, সকলেই এসআইআরে নাম তুলুন। এটা ওদের কৌশল। সামনে নির্বাচন, তাই সবটাই প্ল্যান করে করা হয়েছে। আমরা না করলে ওরা রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে ভোট করবে।তিনি আরও দাবি করেন, বিজেপি ফাইনাল লিস্ট তৈরি করে পরের দিনেই নির্বাচন ঘোষণা করতে পারে, যাতে কেউ আদালতে যাওয়ার সুযোগ না পায়। যদিও আইনি বিষয় আদালতের উপর ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেন তিনি, কিন্তু রাজনৈতিক লড়াই রাজনৈতিকভাবেই লড়বেন বলে স্পষ্ট করেন।মমতার অভিযোগ, বিজেপির হাতে রাজ্য গেলে বাংলার অস্তিত্বই বিপদে পড়বে। তাঁর কথায়, বিজেপি এলে আপনার ঠিকানা, সম্মান, সবটাই প্রশ্নের মুখে পড়বে। বাংলাকে ডিটেনশন ক্যাম্প বানিয়ে দেবে। কিন্তু বাংলায় আমরা তা হতে দেব না। কোনও এনআরসি হবে না, কোনও ডিটেনশন ক্যাম্পও নয়।ডাবল ইঞ্জিন সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র সুর তুলে তিনি বলেন, উত্তরপ্রদেশ ও অসমে ডিটেনশন ক্যাম্প চালু করা হয়েছে, কিন্তু বাংলায় তা কখনওই হতে দেওয়া হবে না।এই মন্তব্যের পরেই পাল্টা তোপ দেগেছে বিজেপি। বিজেপি মুখপাত্র দেবজিৎ সরকার কটাক্ষ করে বলেন, এ কী অদ্ভুত কথা! যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগেই উনি হেরে গিয়েছেন। এখন থেকেই হারের অজুহাত দিচ্ছেন।কোচবিহারের রাজনীতিতে এবং রাজবংশী ভোটে এই বক্তব্য কতটা প্রভাব ফেলবে, এখন সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ০৯, ২০২৫
রাজ্য

মমতার রুদ্রমূর্তি! কোচবিহারের মঞ্চেই কেন্দ্রের নোটিস ছিঁড়ে তুফান তুললেন মুখ্যমন্ত্রী

নতুন শ্রম কোড রাজ্যে লাগু হবে নাএ কথা আগেই জানিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এবার কেন্দ্রের পাঠানো সেই শ্রম আইনের প্রতিলিপি রাজ্যের হাতে আসে। সেখানে ১০০ দিনের কাজের টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে নতুন কিছু শর্ত রাখা হয়েছে। কিন্তু সেই শর্তকে সম্পূর্ণ অসম্মানজনক বলে দাবি করে কোচবিহারের জনসভা থেকেই কাগজ ছিঁড়ে ফেললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।দুদিনের কোচবিহার সফরে গিয়ে কেন্দ্রকে একের পর এক ইস্যুতে তীব্র আক্রমণ করেন তিনি। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষোভ প্রকাশ করেন কেন্দ্রের নতুন শ্রম আইন নিয়ে। মমতার অভিযোগ, কয়েক দিন আগে কেন্দ্র থেকে একটি নোটিস পাঠানো হয়েছে। সেখানে ১০০ দিনের কাজের টাকার জন্য নতুন নিয়ম চাপানো হয়েছে, যা রাজ্য কোনওভাবেই মানবে না। তাঁর কথায়, আমরা এই শর্ত মানি না, মানবও না। এটা আমাদের অপমান করার চেষ্টা। তাই আমি এই কাগজ ছিঁড়ে ফেললাম। এটা কেন্দ্রের নোটিস নয়এটা আমার নিজের কাছে থাকা কাগজ। কেন্দ্রের কাগজ হলে তাও মানাতাম না।কেন্দ্রের নতুন শ্রম কোডে বিভিন্ন রাজ্যে একই কাজের জন্য আলাদা বেতন কাঠামো, পৃথক নিরাপত্তা বিধি এবং নানা জটিলতা দূর করার দাবি করা হয়েছিল। দেশের ৪৪টি আলাদা শ্রম আইনকে একত্র করে চারটি নতুন কোড চালুর কথা ঘোষণা করে কেন্দ্র। নভেম্বর থেকেই সেই শ্রম আইন কার্যকর হয়েছে। তবে কোনও রাজ্যে এই কোড চালু হবে কি না, তা নির্ভর করবে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের সিদ্ধান্তের উপর। পশ্চিমবঙ্গ সরকার আগেই জানিয়ে দিয়েছিল, তারা এই নয়া কোড মানবে না। যদিও কিছু বেসরকারি সংস্থা ইতিমধ্যেই এই নতুন নিয়ম চালু করেছে।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই প্রকাশ্য নোটিস-ছিঁড়ে ফেলা রাজনৈতিক মহলে নতুন আলোচনা তৈরি করেছে। কেন্দ্র-রাজ্য দ্বন্দ্ব আরও তীব্র হবে বলেই মনে করছেন অনেকে।

ডিসেম্বর ০৯, ২০২৫
রাজ্য

উত্তরবঙ্গে এনআরসির নোটিসে আতঙ্ক, মমতার মন্তব্যে রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ল

বাংলায় এসআইআর শুরু হওয়ার আগেই উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারের বিভিন্ন জায়গায় অসম সরকারের পক্ষ থেকে এনআরসি-র নোটিস পাঠানো হচ্ছিল। এ নিয়ে আগেই আপত্তি জানিয়েছিল তৃণমূল। এবার সরাসরি মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোচবিহারের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে পুলিশকে দিলেন কড়া নির্দেশ।বৈঠকে মমতা বলেন, বাংলার নাগরিকদের কাছে অসম সরকারের নোটিস পাঠানোর কোনও অধিকার নেই। নমঃশূদ্র ও রাজবংশী সম্প্রদায়ের উদ্দেশে তিনি জানান, বাংলায় ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরির প্রশ্নই নেই। তিনি বলেন, মানুষকে সম্মান নিয়ে বাঁচতে দিতে হবে, ভয় দেখিয়ে নয়। মমতা স্পষ্ট নির্দেশ দেন, অন্য রাজ্যের কেউ এসে বাংলার সাধারণ মানুষকে গ্রেফতার করে নিয়ে যেতে পারবে না। পুলিশকে তিনি সতর্ক করে বলেন, যদি কোনও অপরাধীকে ধরতে অন্য রাজ্য আসে, তাহলে রাজ্যের সঙ্গে কথা বলতে হবে। কিন্তু সাধারণ মানুষের নামে অভিযোগ মানেই সে অপরাধী নয়।সাম্প্রতিক কয়েক মাসে আলিপুরদুয়ারের জটেশ্বরের এক গৃহবধূর কাছে এনআরসি নোটিস পৌঁছেছিল। কোচবিহারেও একই ঘটনা ঘটেছিল। সেই নিয়ে এলাকাজুড়ে উদ্বেগ ও জল্পনা তৈরি হয়। এই প্রেক্ষিতেই মমতা ফের জানালেন, বাংলার মানুষকে এনআরসির নামে আতঙ্ক দেখিয়ে হেনস্থা করতে দেবেন না।

ডিসেম্বর ০৮, ২০২৫
রাজ্য

ভোটের আগে তুঙ্গে উত্তাপ, নদিয়ায় মমতা—কী বার্তা দেবেন মতুয়া অধ্যুষিত জেলাকে?

রাজ্যে ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার এখনও কয়েক মাস বাকি হলেও রাজনৈতিক উত্তাপ এখন থেকেই বেড়েই চলেছে। দলগুলির চাপানউতোর, এসআইআর-এর কাজ এবং মাঠে মাঠে কর্মসূচিসব মিলিয়ে পরিস্থিতি ক্রমশ গরম। এই আবহেই তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলায় জেলায় জনসভা শুরু করেছেন। এবার তাঁর সভা হতে চলেছে নদিয়ায়।আগামী ১১ ডিসেম্বর কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজের মাঠে মমতার জনসভা হওয়ার কথা। সেই সভার নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতে শনিবার সেখানে পৌঁছেছিলেন এডিজি সাউথ বেঙ্গল, কৃষ্ণনগর জেলা পুলিশের সুপার এবং অন্য উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। কোথায় কীভাবে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা হবে, প্রবেশ পথের নিরাপত্তা কেমন হবেসবই পর্যালোচনা করা হয়েছে।এসআইআর চলাকালীন মমতার প্রথম সভা হয়েছিল উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয়। এরপর তিনি মালদহ ও মুর্শিদাবাদে সভা করেন। প্রতিটি জায়গায় তিনি সাধারণ মানুষকে আশ্বাস দেন যে এসআইআর নিয়ে উদ্বেগের কোনও কারণ নেই। তৃণমূল মানুষের পাশে আছে এবং শুধুই মানুষের রাজনীতি করেন, ভোটের রাজনীতি করেন নাএই বার্তাই বারবার দিয়েছেন তিনি।৯ ডিসেম্বর মমতার কোচবিহারে সভা রয়েছে। তার দুই দিন পরই নদিয়ার সভা। যদিও জেলা পুলিশের তরফে এখনও সরকারিভাবে সভার ঘোষণা স্বীকার করা হয়নি। পুলিশের বক্তব্য, এ বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক নির্দেশিকা তাঁদের কাছে এখনও পৌঁছোয়নি। কিন্তু মাঠ ঘুরে দেখে নেওয়া থেকে পরিষ্কার, প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে।রাজনীতির পর্যবেক্ষকদের মতে, বনগাঁর মতো নদিয়াতেও বড় সংখ্যক মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ থাকেন। তাই কৃষ্ণনগরের এই সভা রাজনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মমতা এই মঞ্চ থেকে কী বার্তা দেন, তা এখনই জল্পনার কেন্দ্রে।

ডিসেম্বর ০৬, ২০২৫
রাজ্য

৭০% সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক, ৯০টি সিট—হুমায়ুনের নতুন অঙ্কে মমতার মাথাব্যথা বাড়ল?

বেলডাঙায় বাবরি মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেই আগামী বিধানসভা নির্বাচনের সুর তোললেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। কয়েকদিন আগেই তিনি জানিয়েছিলেন যে নিজের দল গড়বেন এবং ১৩৫টি আসনে প্রার্থী দেবেন। এবার আরও এক ধাপ এগিয়ে সরাসরি বললেন, তিনি বিধানসভায় অপজিশন হিসেবেই থাকতে চান। ভোটের এখনও সময় আছে, কিন্তু মুর্শিদাবাদের মাটি ইতিমধ্যেই নতুন রাজনৈতিক অঙ্ক কষতে শুরু করেছে। বিশ্লেষকদের মতে, তার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে বাবরি মসজিদ ইস্যুই।হুমায়ুন দাবি করেন, বেলডাঙায় প্রায় ৭০ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোটার। তাঁর দেওয়া তথ্যানুসারে, রাজ্যে মোট ৭ কোটি ৬৬ লক্ষ ভোটারের মধ্যে ২ কোটি ৮২ লক্ষ ৫৩৩ জন সংখ্যালঘু এবং তার মধ্যে ২ কোটি ৪২ লক্ষ মানুষ বাঙালি মুসলমান। তাঁর বক্তব্য, যেসব এলাকায় মুসলিম ভোট ৪২ থেকে ৮২ শতাংশএমন প্রায় ৯০টি আসনে সংখ্যালঘুদের নিজেদের প্রতিনিধি পাঠানো উচিত। আর এই আসনগুলোকেই তিনি মূলত লক্ষ্য করেছেন।তিনি অভিযোগ করেন, বছরের পর বছর মুসলিম বিধায়কের সংখ্যা কমেছে। তাঁর কথায়, ২০১১ সালে মুসলিম বিধায়ক ছিলেন ৬৭ জন, ২০১৬-তে তা কমে দাঁড়ায় ৫৭-তে, আর ২০২১ সালে আরও কমে হয় ৪৪। এই পরিসংখ্যান দেখিয়ে তিনি সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে বিঁধেছেন।হুমায়ুন বলেন, তিনি ৯০টি আসনে লড়বেন, আর বাকি ২০৪টি আসনে লড়াই হোক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারীর মধ্যে। তাঁর দাবি, তিনি সরকার গড়তে চান না, বরং বিধানসভায় বিরোধী শিবিরে থেকে লড়াই করবেন ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে। ২২ ডিসেম্বর তিনি নিজের দল ঘোষণা করবেন বলেও জানান।রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, হুমায়ুনের এই ঘোষণা তৃণমূলের জন্য বড় মাথাব্যথার কারণ হতে পারে। শাসকদলের দাবি, এই সবই হচ্ছে বিজেপির পরোক্ষ মদত-এ। সংখ্যালঘু ভোটভাগের এই অঙ্ক মুর্শিদাবাদের রাজনীতিতে কতটা প্রভাব ফেলবে, এখন সেটাই দেখার।

ডিসেম্বর ০৬, ২০২৫
কলকাতা

মোদী গেলে বিজেপি শেষ, মমতা থাকলে তৃণমূল অজেয়—কল্যাণের বিস্ফোরক মন্তব্য

বিজেপিতে যেমন নরেন্দ্র মোদি সবার মূল মুখ, তেমনই তৃণমূলে একমাত্র মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমনই মন্তব্য করলেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, যত দিন মোদী রয়েছেন, তত দিন বিজেপি টিকে থাকবে। ঠিক সেই ভাবেই যত দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন, তত দিন তৃণমূলকে কেউ নড়াতে পারবে না। কল্যাণের কথায়, দল চলে মমতার নামেই, বাকিরা কী বলছেন, তাতে দলের কিছু আসে যায় না।মুর্শিদাবাদে বাবরি মসজিদ সংক্রান্ত মন্তব্যে ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে ঘিরে তৈরি হওয়া বিতর্ক প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এই মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, মোদী থাকলে যেমন পদ্মফুল ফুটবে, তেমনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকলে তৃণমূলকে কেউ ঠেকাতে পারবে না। আগেও একাধিকবার তিনি বলেছেন, তাঁর কাছে একমাত্র নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অন্য কিছু তাঁর মাথায় থাকে না।তৃণমূলের অন্দরে নবীন ও প্রবীণ নেতৃত্ব নিয়ে টানাপোড়েন নতুন নয়। এক সময় দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বয়সের ঊর্ধ্বসীমা নিয়ে বক্তব্য রাখায় বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। তখন অনেকেরই মত ছিল, এতে তৃণমূলের অন্দরের নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। সেই সময় কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো প্রবীণ নেতাদের অবস্থান বারবার আলোচনায় এসেছে।এই প্রসঙ্গে বিজেপির সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, তৃণমূলে এখনও এমন অনেক প্রবীণ নেতা রয়েছেন, যাঁরা সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রয়েছেন। অন্য দিকে, তৃণমূলের মুখপাত্রের বক্তব্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখই আসলে তৃণমূলের মুখএ নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই।

ডিসেম্বর ০২, ২০২৫
কলকাতা

বারাসাত মর্গে চোখ উধাও! প্রশাসনিক ব্যর্থতায় ফেটে পড়ল জনরোষ, মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় অবরুদ্ধ

বারাসাত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে দেহ সংরক্ষণ নিয়ে ভয়াবহ গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। মর্গ থেকে এক মৃত ব্যক্তির একটি চোখ উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়েছে। অভিযোগ, মৃতদেহ পরিবারকে হস্তান্তর করার সময় দেখা যায় এক চোখ নেই। এরপরেই মৃতের পরিবার চোখ চুরি হয়েছে বলে সোচ্চার হয়। মঙ্গলবার বিকেলে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয় ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনার জেরে প্রায় ১০১৫ মিনিট মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি আটকে পড়ে বলে জানা যায়।ঘটনার সূত্রপাতমালদার বাসিন্দা প্রীতম ঘোষ (৩৪) একটি পথদুর্ঘটনায় মারা যান। নিয়ম অনুযায়ী দেহ পাঠানো হয় বারাসাত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে। দিন কয়েক পর পরিবার দেহ নিতে আসলে তারা দেখে দেহের একটি চোখ নেই। পরিবারের দাবি, দেহ মর্গে পাঠানোর সময় চোখ ঠিক ছিল। দেহ নিতে আসার পর দেখা যায় একটি চোখ উধাও। এটা সাধারণ ভুল নয়, এটা চুরি। পরিবারের অভিযোগে উঠে আসে অঙ্গ পাচার চক্রের সম্ভাবনা। তাদের দাবি, হাসপাতালের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মীদের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হোক।প্রচণ্ড উত্তেজনা, মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় ঘিরে বিক্ষোভখবর ছড়িয়ে পড়তেই হাসপাতালের সামনে জটলা বাড়তে থাকে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গিয়েছিলেন ঠাকুরনগর। ফেরার পথে তাঁর কনভয় ঘটনাস্থল অতিক্রম করার সময় ক্ষুব্ধ পরিবার ও স্থানীয়রা রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখান। মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় থেমে যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে নিরাপত্তাকর্মীরা তৎপর হন। মুখ্যমন্ত্রী গাড়ি থামিয়ে নিজে নেমে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। অভিযোগ শোনেন এবং সমবেদনা জানান।মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট বার্তা: পুরো বিষয়টির তদন্ত হবেইবিক্ষোভকারীদের আশ্বস্ত করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এটা অত্যন্ত গুরুতর অভিযোগ। এর পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে। দোষী কেউ হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি মৃতের পরিবারের হাতে আর্থিক সাহায্য ও চাকরির প্রতিশ্রুতিও দেন। মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসের পর পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়।হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, দেহ যেখানে রাখা হয়েছিল, সেখানে ইঁদুরের উৎপাত ছিল। অঙ্গচ্ছেদ ইচ্ছাকৃত চুরি নয়, এটি রোডেন্ট ইনজুরি হতে পারে। তবে পরিবার এই দাবি মানতে নারাজ। তাদের যুক্তি, ইঁদুর হলে কাটা অংশের চিহ্ন থাকত। আমরা যা দেখেছি, তা কোনওভাবেই ইঁদুরের কামড়ের মতো নয়।এদিকে এই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক শোরগোল শুরু হয়েছে। বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছে, সরকারি হাসপাতালের মর্গ কতটা নিরাপদ? অঙ্গ পাচারের সঙ্গে যুক্ত কোনও চক্র সক্রিয় কি না? শাসক শিবিরের দাবি, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছানো উচিত নয়। পুলিশ-প্রশাসন জানিয়েছে, মর্গে দেহ রাখা এবং হস্তান্তরের সমস্ত প্রক্রিয়ার ভিডিও ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মর্গের কর্মীদের পরিচয়, ডিউটি লগ, সিসিটিভি ডেটা, সবই পরীক্ষা করা হবে। পাশাপাশি ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও দেহ হস্তান্তর রিপোর্টও পুনরায় পর্যালোচনা করা হবে। স্থানীয়দের প্রশ্ন, মর্গে দেহই যদি নিরাপদ না থাকে, তাহলে কোথায় যাব? সরকারি হাসপাতালের মর্গে দেহ নিরাপদ না হলে সাধারণ মানুষের ভরসা কোথায়? এটা শুধু একটি পরিবারের ঘটনা নয়, পুরো পদ্ধতি নিয়েই প্রশ্ন।

নভেম্বর ২৮, ২০২৫
রাজ্য

"আমি খেলতে নামলে কেউ ধরতে পারবেন না.." বনগাঁ থেকে বিস্ফোরক মুখ্যমন্ত্রী

রাজ্যের রাজনীতি যখন SIR ঘিরে তপ্ত, ঠিক তখনই বনগাঁর ত্রিকোণ পার্কে সভামঞ্চে আগুনঝরা ভাষণ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি এবং নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তিনি প্রশ্ন তুললেন, কেন মাত্র দুই মাসে SIR করার এত তাড়াহুড়ো? তাঁর দাবি, এই সিদ্ধান্তের পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য স্পষ্ট। জনগণকে আশ্বস্ত করে মমতার ঘোষণাআমরা থাকতে আপনাদের তাড়াতে দেব না। আমি বলছি, ভয় পাবেন না।সভা শুরুর আগেই ঘটে অদ্ভুত এক ঘটনা। নির্ধারিত সময়ের আগে হেলিকপ্টারের ইনস্যুরেন্স শেষ হয়ে যাওয়ায় বাতিল হয় উড়ান। মুখ্যমন্ত্রী জানান, এটি জানার পরই তাঁর মনে হয়েছেনির্বাচন শুরু হওয়ার আগেই যেন কোথাও কোনও কনফ্রন্টেশন তৈরি করা হচ্ছে। তবু তিনি হাস্যরসের সুরে বলেন, মজার খবর তো! এতে আমারই ভাল হয়েছে। রাস্তা দিয়ে আসতে এসে বহু মানুষের সঙ্গে দেখা হয়েছে। এটাই আমার জনসংযোগ।এরপরই বিজেপিকে সরাসরি উদ্দেশ করে তাঁর স্পষ্ট চ্যালেঞ্জবারবার বলছি, আমার সঙ্গে খেলতে যাস না। আমি খেলতে নামলে যে খেলাটা খেলব, সেখানে আমাকে ধরতেও পারবে না, ছুঁতেও পারবে না, নাগালও পাবে না।বিজেপির বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় এজেন্সি ব্যবহারের অভিযোগও তুললেন মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, সব এজেন্সি নিয়ে বসে থাক, কোটি কোটি টাকা খরচ করো। মানুষ টাকা নেবে, কিন্তু ভোট দেবে না। একবার টাকা দিলে সারা বছর চলবে কী করে?নিজের রাজনৈতিক পথচলার প্রসঙ্গ টেনে মমতার মন্তব্য, তিনি কেবল ভোটের রাজনীতি করেন না, মানুষের রাজনীতি করেন। তাঁর কথায়, আমি যদি কিছু ধরি, শেষ করে ছাড়ি। তৃণমূল কংগ্রেস থাকতে কারও গায়ে হাত দিতে দেব না। রাস্তাই আমাকে রাস্তা দেখায়।SIR-প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে সরাসরি প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, SIR করতে তিন বছর লাগে। আমরা SIR-এর বিরোধী নই। কিন্তু দুই মাসে করার কারণ কী? এর পিছনে কী উদ্দেশ্য লুকিয়ে আছে?বনগাঁর মঞ্চে তাঁর এই তীব্র আক্রমণ নিঃসন্দেহে নতুন করে গতি ফেলেছে রাজ্যের রাজনৈতিক উত্তাপে। SIR, মতুয়া ভোট, নির্বাচন কমিশনের ভূমিকাসবকিছু মিলিয়ে আগামী সময় রাজ্য রাজনীতিতে আরও ঝড় তুলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

নভেম্বর ২৫, ২০২৫
কলকাতা

মঞ্চ প্রস্তুত, ভিড় তৈরি—তবু কেন উড়তে পারল না মমতার হেলিকপ্টার? সামনে এল চাঞ্চল্যকর কারণ

মতুয়াগড়ে প্রস্তুতি ছিল তুঙ্গে। মঞ্চ তৈরি, নিরাপত্তা মোতায়েন, রুটমার্চের পথ পুরোপুরি খালি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসবেনএই প্রত্যাশায় ঘিরে ফেলেছিল এলাকা। কিন্তু ঠিক শেষ মুহূর্তেই বদলে গেল পুরো সফরসূচি। হেলিকপ্টারে যাত্রা করার কথা থাকলেও তা আর সম্ভব হল না। বাধ্য হয়ে সড়কপথেই পৌঁছতে হল তাঁকে।প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্ধারিত হেলিকপ্টারের ইনস্যুরেন্স বা বিমা মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। তাই নিরাপত্তার স্বার্থে উড়ান বাতিল করতে হয়। এত বড় গলদ জানতে পেরে ক্ষুব্ধ হন মুখ্যমন্ত্রী। যে সংস্থা হেলিকপ্টারের রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিষেবার দায়িত্বে ছিল, তাদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই শোকজ নোটিশ জারি হয়েছে।পরিবহনমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী এদিন স্পষ্ট জানান, সংস্থারই দায়িত্ব ছিল হেলিকপ্টারের বিমা সঠিক সময়ে নবীকরণ করা। কিন্তু তারা দাবি করেছে, লন্ডনের একটি সংস্থার মাধ্যমে এই ইন্সুরেন্স করানো হয়। সময়ের ফারাকের কারণ দেখিয়ে তারা জানিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেল ৩টার আগে বিমা নবীকরণ সম্ভব নয়। তাই মুখ্যমন্ত্রীর সফর ঘিরে শেষ মুহূর্তে তৈরি হল এই অস্বস্তিকর পরিস্থিতি।যেখানে সমস্ত প্রস্তুতি আঁটসাঁট, সেখানে এমন প্রশাসনিক ফাঁক চোখে লাগার মতোই। মুখ্যমন্ত্রীর সফরের মতো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সরকারি আয়োজনের মাঝে এই ভুলে একপ্রকার অস্বস্তি ছড়িয়েছে প্রশাসনের মধ্যেই।

নভেম্বর ২৫, ২০২৫
কলকাতা

"এসআইআর কি মৃত্যুকূপ?" কৃষ্ণনগরে বিএলওর আত্মহত্যায় তীব্র আক্রমণে মুখ্যমন্ত্রী

কৃষ্ণনগরে বিএলও রিঙ্কু তরফদারের আত্মহত্যা ঘিরে রাজ্য রাজনীতি ফের সরগরম। মৃত্যুর আগে পাওয়া তাঁর সুইসাইড নোটে কাজের অতিরিক্ত চাপ ও নির্বাচন কমিশনের এসআইআর প্রক্রিয়াকেই দায়ী করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠতেই সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কমিশনকে আক্রমণ করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেনআর কতজনের প্রাণ যাবে এই এসআইআর-এর জন্য? আর কত মৃতদেহ দেখতে হবে আমাদের?মুখ্যমন্ত্রী জানান, রিঙ্কু তরফদার পার্শ্বশিক্ষক ছিলেন, পাশাপাশি বিএলও হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। গভীর মানসিক চাপে তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন বলে অভিযোগ পরিবারের। তাঁর সুইসাইড নোটেই নাকি স্পষ্ট লেখা রয়েছে, এসআইআর-এর চাপ তাঁর পক্ষে আর সহ্য করা সম্ভব ছিল না। সেই নোট প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্যের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে প্রশ্ন তুলেছেন মমতাএই প্রক্রিয়া চালু রেখে কমিশন কি মানুষের জীবনের মূল্য ভুলে যাচ্ছে?তবে এই ঘটনার দায় উল্টে রাজ্যের ঘাড়ে চাপিয়েছে বিরোধীরা। বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল জানান, কমিশন ডেটা এন্ট্রি অপারেটর নিয়োগ করতে বলেছিল, যাতে বিএলওদের ওপর অতিরিক্ত ডিজিটাল কাজের চাপ না পড়ে। কিন্তু রাজ্য সরকার তা মানেনি। তাঁর দাবি, রিঙ্কু অনলাইনে কাজ করতে পারতেন না। যদি ডেটা এন্ট্রি অপারেটর রাখা হত, তাহলে হয়তো এই ট্র্যাজেডি ঘটত না। তাঁর কথায়, এই মৃত্যুর দায় সম্পূর্ণ মুখ্যমন্ত্রীর।এদিকে রিঙ্কুর মৃত্যুর পরই রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ কুমার আগরওয়াল নদিয়ার জেলাশাসকের কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছেন। কী কারণে এই মৃত্যু, কী ধরনের কাজের চাপ ছিলএসব তথ্য দ্রুত জমা দিতে বলা হয়েছে।এর আগেও একই অভিযোগ উঠেছিল জলপাইগুড়ির মালবাজারে। সেখানেও এসআইআর-এর অতিরিক্ত চাপেই বিএলও শান্তি মুনি ওরাঁও আত্মঘাতী হয়েছেন বলে দাবি করেছিলেন তাঁর পরিবার। সেই ঘটনার পর মমতা এসআইআর প্রক্রিয়া বন্ধ করার দাবি জানিয়ে কমিশনকে চিঠি পাঠান। কিন্তু কয়েক দিনের ব্যবধানে ফের আরেক বিএলও-র মৃত্যুতে আরও ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী।এসআইআর নিয়ে যে বিস্ফোরণধর্মী চাপ সৃষ্টি হয়েছে, তা নিয়ে রাজ্যের সর্বস্তরে প্রশ্নএভাবে কি চলতে পারে? আর একজন কর্মকর্তার মৃত্যু কি প্রশাসন ও কমিশনকে নাড়া দেবে? কৃষ্ণনগরের এই ঘটনা সেই প্রশ্নকে আরও জোরালো করে তুলল।

নভেম্বর ২২, ২০২৫
রাজ্য

“কাজের চাপে মরতে বাধ্য করল!”—সুইসাইড নোটে বিস্ফোরক অভিযোগ, কৃষ্ণনগরে আত্মঘাতী মহিলা BLO

কৃষ্ণনগরের ষষ্ঠীতলা এলাকা শনিবার সকালে ঘুম ভাঙতেই যেন স্তব্ধ হয়ে গেল। নিজের বাড়ি থেকেই উদ্ধার হল মহিলা বিএলও রিঙ্কু তরফদারের নিথর দেহ। বয়স চুয়ান্ন। পেশায় পার্শ্বশিক্ষিকা, চাপড়া বাঙালঝি স্বামী বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরে পড়াতেন। পাশাপাশি চাপড়া ২ নম্বর পঞ্চায়েতের ২০১ নম্বর বুথের ব্লক লেভেল অফিসার হিসেবেও কাজ করতেন। কিন্তু সবকিছুর মাঝেই যেন গোপনে তৈরির হচ্ছিল চাপের পাহাড়। সেই চাপই কি শেষ পর্যন্ত কেড়ে নিল তাঁর প্রাণ?পুলিশ জানিয়েছে, তাঁর ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে রিঙ্কু দেবী স্পষ্ট লিখে গিয়েছেনঅসহ্য মানসিক চাপ, অনবরত কাজের বোঝা ও অবাস্তব সময়সীমার চাপে তিনি আর বাঁচতে পারছেন না। অভিযোগের তীর সরাসরি নির্বাচন কমিশনের দিকে। নোটে লেখা, সংসারে কোনো অভাব নেই, রাজনৈতিক বিদ্বেষও নেইতবু এই সামান্য চাকরির জন্য তাঁকে এমন পরিস্থিতিতে ঠেলে দেওয়া হয়েছে যে, আর পথ খোলা ছিল না।নোটে তিনি আরও জানান, অফলাইন কাজের প্রায় সবটাই শেষ করে ফেললেও অনলাইন প্রক্রিয়া সামলাতে না পারায় তিনি ক্রমে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। একের পর এক জানানো সত্ত্বেও বিডিও অফিস ও সুপারভাইজার নাকি তাঁর প্রতি কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। তাঁর কথায়২০১ নম্বর পার্টে লোক না থাকায় তাঁর কাঁধে অস্বাভাবিক পরিমাণ দায়িত্ব চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল, অথচ পরে অন্য বুথের লোকজনকে বিভিন্ন পার্টে নিয়োগ করা হয়।শেষে তিনি লিখেছেনএখন আমার সুখের সময় ছিল। কিন্তু ওরা আমাকে বাঁচতে দিল না। এই লাইনই যেন কাঁটার মতো বিঁধছে গোটা কৃষ্ণনগরে।ঘটনার পর রাজনৈতিক মহল উত্তাল। তৃণমূল সরাসরি কমিশনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে বলছেডিজিটাল কাজের জটিলতা, অযৌক্তিক সময়সীমা, রাতভর নজরদারি আর শাস্তির আতঙ্কে প্রশাসনিক কর্মীদের ওপর যে মানসিক নির্যাতন চলছে, তা একেবারেই বরদাস্তযোগ্য নয়।অন্যদিকে সাধারণ মানুষও প্রশ্ন তুলছেএকটি নির্বাচনের প্রস্তুতি কি এতটাই মানুষ-খেকো হয়ে উঠেছে যে, কর্মীরা প্রাণ দিচ্ছেন চাপের কাছে হার মেনে?কৃষ্ণনগরের শান্ত এলাকা এখন উত্তেজনায় ফাটা। তদন্ত চলছে, কিন্তু একটি প্রশ্ন বার বার ফিরে আসছেএই মৃত্যু কি নিছক অস্বাভাবিক? নাকি প্রশাসনিক চাপের কাছে হার মেনে নেওয়া এক মর্মান্তিক আত্মসমর্পণ?

নভেম্বর ২২, ২০২৫
দেশ

শাহের কড়া পোস্ট—“কিছু দল অনুপ্রবেশকারীদের রক্ষা করছে”! কার দিকে ইঙ্গিত?

বাংলায় ভোটার তালিকার নিবিড় পরিমার্জন বা এসআইআর প্রক্রিয়া স্থগিত করতে নির্বাচন কমিশনকে সরাসরি চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই পদক্ষেপেই ক্ষুব্ধ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। নাম না করলেও তাঁর আক্রমণের তির যে মমতার দিকেই ছুটে গিয়েছে, তা পরিষ্কার। শাহ অভিযোগ তুলেছেনঅনুপ্রবেশকারীদের নাকি সুরক্ষা দিচ্ছেন কিছু রাজনৈতিক দল, আর সেই কারণেই তারা ভোটার তালিকা শুদ্ধিকরণে বাধা দিচ্ছে।শুক্রবার স্বরাষ্ট্র দফতরের অফিসিয়াল সামাজিক মাধ্যমে অমিত শাহর বক্তব্য প্রকাশ করা হয়। সেখানে তিনি বলেন, দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে যেমন অনুপ্রবেশ রোধ করা জরুরি, তেমনই গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত রাখতে ভোটার তালিকার শুদ্ধিকরণও অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তাঁর অভিযোগ, দুর্ভাগ্যবশত, কিছু রাজনৈতিক দল অনুপ্রবেশকারীদের রক্ষা করতে এতটাই আগ্রহী যে, তারা নির্বাচন কমিশনের কাজেরও বিরোধিতা করছে।রাজনৈতিক মহল বলছে, এই মন্তব্য সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে। কারণ কিছুদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী চিঠি লিখে কমিশনকে জানিয়েছেনএসআইআর অবিলম্বে বন্ধ করা হোক। তাঁর অভিযোগ, হুট করে শুরু হওয়া এই প্রক্রিয়া মাঠে কাজ করা বিএলওদের উপর বিরাট চাপ তৈরি করছে, অথচ তাঁদের যথাযথ প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়নি। মমতার মতে, এই চাপ শুধু অযৌক্তিক নয়, বিপজ্জনকও। কারণ সাম্প্রতিক অতীতে জলপাইগুড়ির মাল এলাকায় এক বিএলওর আত্মহত্যা, মেমারিতে আরেক বিএলও-র মৃত্যুদুটো ঘটনাই প্রশ্ন তুলেছে এসআইআর প্রক্রিয়ার অতিরিক্ত চাপ নিয়ে।মমতার চিঠিতে স্পষ্ট বলা হয়েছেচলমান এসআইআর বন্ধ করা, বিএলওদের উপর জবরদস্তি বন্ধ করা এবং তাঁদের সঠিক প্রশিক্ষণ দিয়ে কাজ চালানো জরুরি। কিন্তু সেই চিঠির ঠিক পরেই শাহের কড়া অবস্থান কেন্দ্র ও রাজ্যের রাজনৈতিক উত্তাপ আরও বাড়িয়ে দিল।তবে তৃণমূল শিবির শাহের অভিযোগ মানতে নারাজ। তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার পাল্টা বলেন, এসআইআর দু বছর ধরে চললে অসুবিধা নেই। কিন্তু কেন্দ্র কেন বলছে দেড় মাসে করতে হবে? উনি কেন কমিশনের কাজে নাক গলাচ্ছেন? তাঁর মন্তব্যশাহ যে কমিশনের নামে সরাসরি রাজনৈতিক চাপ দিচ্ছেন, তা আর লুকোনো নয়।এসআইআর নিয়ে বাংলার রাজনীতিতে যে উত্তেজনা তুঙ্গে, সেই ইঙ্গিত আরও স্পষ্ট হল দুই পক্ষের এই চিঠি যুদ্ধ-এ।

নভেম্বর ২১, ২০২৫
কলকাতা

“এসআইআর বন্ধ করুন”—নির্বাচন কমিশনকে কড়া চিঠি মমতার, আতঙ্কে রাজ্য

রাজ্যে এসআইআর প্রক্রিয়া নিয়ে যখন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে প্রশাসনিক স্তরে উদ্বেগ বাড়ছে, ঠিক তখনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে চিঠি পাঠালেন। চিঠিতে তাঁর দাবি, বর্তমান পরিস্থিতিতে এসআইআর প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়া বিপজ্জনক ও অমানবিক। অবিলম্বে প্রক্রিয়া বন্ধ বা স্থগিত করার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, কয়েক হাজার বিএলও দিনরাত রাস্তায় ঘুরে এনুমারেশন ফর্ম বিলি করছেন। পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ নেই, নেই প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো। এই অবস্থায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এত বড় কাজ শেষ করা সম্ভব নয়। এতে এমন সব ভুল-ত্রুটি তৈরি হবে, যার দায় শেষ পর্যন্ত সাধারণ মানুষকে বইতে হবে। অনেক প্রকৃত ভোটার ভুলবশত বাদ পড়ে যেতে পারেন। মমতার কথায়, এভাবে চাপিয়ে দেওয়া হলে লক্ষ লক্ষ মানুষের ভোটাধিকারই প্রশ্নের মুখে পড়বে।চিঠিতে তিনি আরও লিখেছেন, মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিদিন আত্মহত্যা, অসুস্থতা, হতাশার খবর আসছে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে। ইতিমধ্যেই এক বিএলও-র মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। আরও বহু বিএলও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাঁদের ওপর ভয়ঙ্কর চাপ সৃষ্টি হয়েছে। মমতার দাবি, এই পরিস্থিতি বোঝার বদলে কলকাতার সিইও দপ্তর উল্টো বিএলওদের ভয় দেখাচ্ছে, শোকজ করছে, কড়া ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দিচ্ছে। যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল ও অমানবিক করে তুলছে।তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, এত বড় দায়িত্ব কি মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ করা সম্ভব? ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে সমস্ত ডেটা আপলোড করার যে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে, তা বাস্তবে কতটা সম্ভব, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর আশঙ্কা, চরম চাপে ভুলভ্রান্তি অনিবার্য, আর ভুল ফর্ম জমা পড়লে প্রকৃত ভোটারই সবচেয়ে বড় ক্ষতির মুখে পড়বেন।চিঠিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্টভাবে লিখেছেন, এই প্রক্রিয়া যে উদ্বেগজনক জায়গায় পৌঁছেছে, তা অস্বীকার করা যাবে না। প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা সত্ত্বেও তিনি মানুষের ভয়, দুর্দশা ও অস্থিরতা সরাসরি অনুভব করছেন। সেই কারণেই এসআইআর স্থগিত বা বন্ধ করার দাবি জানান তিনি। একইসঙ্গে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপও চান।

নভেম্বর ২০, ২০২৫
কলকাতা

জাপানের ওকায়ামা বিশ্ববিদ্যালয় এশিয়ার প্রথম মহিলা হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল সাম্মানিক ডি-লিট।

এশিয়ার প্রথম মহিলা হিসেবে জাপানের ওকায়ামা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাম্মানিক ডি-লিট পেলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । বুধবার সন্ধ্যায় কলকাতার ধনধান্য স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে সেই সম্মান তুলে দিলেন ওকায়ামা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট নাসু ইয়াসুতোমো। মুখ্যমন্ত্রীকে সম্মান জানাতে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।নাসু ইয়াসুতোমো জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর জীবনের বড় অংশ উৎসর্গ করেছেন দরিদ্র মহিলা ও শিশুদের কল্যাণে। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আন্তর্জাতিক স্তরে এক বিশেষ নেতৃত্বের প্রতীক। সামাজিক সুরক্ষার ক্ষেত্রেও তিনি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এই কারণেই আমরা প্রথমবার এশিয়ার কোনও মহিলাকে সাম্মানিক ডি-লিট দিচ্ছি।সম্মান গ্রহণ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই সম্মানের জন্য জাপানের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা। এ বছর আমন্ত্রণ জানানো হলেও যেতে পারিনি। এরপর ওঁরা নিজেরাই বলেছিলেন, আমরা বাংলায় আসব। এত সৌজন্য আমি উপেক্ষা করতে পারিনি। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই, এটা মানবিক সৌজন্যের প্রতিফলন।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, বাংলা ও জাপানের সম্পর্ক বহু পুরনো। একসময় রাসবিহারী বসু, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতো ব্যক্তিত্বরা জাপানে গিয়েছিলেন। আজও সেই সম্পর্ক বজায় রয়েছে। মিৎসুবিসি, হিতাচি-সহ একাধিক জাপানি সংস্থা বাংলায় কাজ করছে। ওয়েবেলও যৌথভাবে কাজ করছে জাপানি সংস্থার সঙ্গে।জাপানের এই সম্মান প্রাপ্তির পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই স্বীকৃতি কেবল আমার নয়, বাংলার প্রতিটি নারী ও শিশুর জন্য। অনুষ্ঠানের শেষে তিনি বাংলার তরুণ প্রজন্মকে উদ্দেশ করে বার্তা দেন শিক্ষার মাধ্যমে, মানবতার মাধ্যমে নিজেরাই হোক বিশ্বের গর্ব।

নভেম্বর ১২, ২০২৫
কলকাতা

'কেন দল পাশে দাঁড়াল না?’— মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠিতে প্রশ্ন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের

তিন বছরের দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে গৃহে ফিরলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। মঙ্গলবার বিকেলে দক্ষিণ কলকাতার নাকতলার বাড়িতে ফিরে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে তীব্র চাঞ্চল্য। জেলবন্দি জীবনের শেষপ্রান্তে এসে নাকি পার্থ চট্টোপাধ্যায় লিখেছিলেন একটি চিঠি সরাসরি দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে! আর সেই চিঠিই এখন সামনে এসেছে।সূত্রের খবর, ওই চিঠিতে পার্থ লিখেছেন, সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে জানতে পারলাম, দল আমাকে সাসপেন্ড করেছে। কিন্তু দলীয় সংবিধানের কোন ধারায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? সরাসরি প্রশ্ন তুলেছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। চিঠিটি ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরে। শুধু তাই নয়, একই সঙ্গে চিঠির কপি পাঠানো হয়েছে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর কাছেও।২০২২ সালের ২৩ জুলাই, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি-র হাতে গ্রেফতার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেদিন তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, তিনি কারও সঙ্গে কথা বলতে চান কি না। উত্তরে পার্থ বলেছিলেন, আমি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চাই। কিন্তু ফোনে সংযোগ পাননি। পরে তিনি আক্ষেপ করে বলেন, চেষ্টা করেছিলাম, পাইনি। পরবর্তীতে ফিরহাদ হাকিম জানান, তল্লাশির সময় ফোন নিয়ে নেওয়া হয়, তাই যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।গ্রেফতারের পাঁচ দিন পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে ঘোষণা করেন দলের সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সমস্ত পদ থেকে সরানো হল। সেই সিদ্ধান্তের পর দল থেকে সাসপেনশন, মন্ত্রিত্ব হারানো একে একে সবই ঘটে যায় পার্থর জীবনে।আর আজ, দীর্ঘ তিন বছর পর, সেই পার্থ আবার মুক্ত আকাশের নিচে। আর ঠিক সেই সময়ই প্রকাশ্যে এসেছে তাঁর জেলবন্দি অবস্থায় লেখা চিঠি। সূত্রের দাবি, ওই চিঠিতে পার্থ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে উল্লেখ করেছেন নব্য সেনাপতি হিসেবে। লিখেছেন, অনেক সময়ে দল অভিযুক্ত নেতাদের পাশে দাঁড়ায়। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে দল কেন দাঁড়াল না, তার উত্তর আজও পাইনি। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এই চিঠি নতুন করে তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ অস্বস্তি বাড়াতে পারে। বিশেষ করে এমন সময়, যখন পার্থ চট্টোপাধ্যায় এখনও দলের বাইরে, কিন্তু তাঁর প্রত্যাবর্তনে দলের ভেতরে চলছে নানা গুঞ্জন।

নভেম্বর ১১, ২০২৫
কলকাতা

আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলার মুখ! মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডি.লিট দিচ্ছে জাপানের বিশ্ববিদ্যালয়

বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার আন্তর্জাতিক মঞ্চে এক নতুন সম্মান পেতে চলেছেন। তাঁকে সাম্মানিক ডি.লিট (Doctor of Letters) দিতে চলেছে জাপানের ইয়োকোহামা ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। আগামী ১২ নভেম্বর কলকাতার ধনধান্যে অডিটোরিয়ামে এক বিশেষ অনুষ্ঠানে এই সম্মান প্রদান করা হবে। জাপানের ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন মমতার হাতে সম্মান তুলে দিতে।এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তৃতীয়বারের মতো ডি.লিট পাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে ২০১৮ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে সাম্মানিক ডি.লিট প্রদান করেছিল। সেই সময় রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী নিজে মমতার হাতে সম্মান তুলে দিয়েছিলেন। যদিও সেই সম্মান ঘিরে হয়েছিল ব্যাপক বিতর্ক এবং হাইকোর্টেও মামলা গড়ায়।এরপর ২০২৩ সালে সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও সাম্মানিক ডি.লিট পান মুখ্যমন্ত্রী। সেই অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল সি.ভি. আনন্দ বোস মমতার হাতে সম্মান তুলে দেন। এবার বিদেশের মাটি থেকে এই তৃতীয় ডি.লিট তাঁর রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক জীবনের এক বড় অর্জন হিসেবে দেখা হচ্ছে।শুধু তাই নয়, এর আগেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজি (KIIT)-এর পক্ষ থেকে সাম্মানিক ডক্টরেট দেওয়া হয়েছিল। রাজ্যের উন্নয়ন, সামাজিক কাজ, ও শিল্পক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকার জন্য এই সম্মান পেয়েছিলেন তিনি।তবে এই প্রথম কোনও বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় মুখ্যমন্ত্রীকে এমন উচ্চ সম্মানে ভূষিত করতে চলেছে। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্য রাজনীতিতে তৈরি হয়েছে গর্ব ও আলোচনার নতুন ঢেউ। তৃণমূল নেতারা বলছেন, এ শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত কৃতিত্ব নয়, এটা গোটা বাংলার জন্য গর্বের মুহূর্ত।উল্লেখ্য, চলতি বছরের মার্চ মাসেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কেলগ কলেজ থেকে বক্তব্য রাখার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সেখানে তিনি রাজ্যের উন্নয়ন, নারীশক্তির উত্থান, এবং সমাজে সহিষ্ণুতার বার্তা নিয়ে কথা বলেছিলেন। যদিও অনুষ্ঠানের মাঝে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে, তবুও তাঁর বক্তব্য আন্তর্জাতিক মহলে প্রশংসিত হয়েছিল।এবার সেই সাফল্যের ধারায় যোগ হতে চলেছে আরও এক আন্তর্জাতিক অধ্যায়। ইয়োকোহামা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে এই ডি.লিট প্রাপ্তি মুখ্যমন্ত্রীর জীবনে যেমন এক বিশেষ স্বীকৃতি, তেমনি বাংলার রাজনীতির ইতিহাসেও এটি এক নতুন মাইলফলক।

নভেম্বর ১০, ২০২৫
রাজ্য

অপারেশন সূর্যোদয় থেকে রাজনৈতিক সূর্যাস্ত? নন্দীগ্রামে ফের মুখোমুখি তৃণমূল ও বিজেপি

নন্দীগ্রামের সকালটা সোমবার ফের রাজনীতিতে গরম হয়ে উঠল। একই মাঠে পাশাপাশি দুটি মঞ্চ একদিকে তৃণমূল, অন্যদিকে বিজেপি। দুটির দূরত্ব কয়েক হাত মাত্র। যেন রাজনৈতিক সৌজন্যের আড়ালে তীব্র এক নীরব যুদ্ধ। স্থানীয়রা বলছেন, ২০২০ সাল থেকে এ দৃশ্য নতুন নয়। প্রতি বছরই দেখি তৃণমূল আর বিজেপির শহিদ দিবস-এর টানাপোড়েন।বাম আমলে ১০ নভেম্বর ছিল অপারেশন সূর্যোদয়-এর দিন। আজ তা নন্দীগ্রামের শহিদদের স্মরণে পরিণত হয়েছে। কিন্তু কে আগে শহিদ বেদীতে পুষ্পার্পণ করবে, তৃণমূল না বিজেপি এই নিয়েই এখন বছরের পর বছর চলেছে রাজনৈতিক তরজা। শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদানের পর থেকেই এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা আরও প্রকট।পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে না যায়, তাই প্রশাসন প্রতি বছরই দুই দলের কর্মসূচির জন্য নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেয়। এ বছর সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত সময় বরাদ্দ ছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর জন্য। এরপরই শুরু হবে তৃণমূলের অনুষ্ঠান, যেখানে উপস্থিত ছিলেন পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী।নির্দিষ্ট সময় মেনেই সকাল সকাল শহিদ বেদীতে পৌঁছে যান শুভেন্দু। তাঁর হাতে ছিল না দলীয় পতাকা, বরং কালো পতাকা অপারেশন সূর্যোদয়-এর বিরোধিতার প্রতীক হিসেবে। শহিদ বেদীতে শ্রদ্ধা জানিয়ে মঞ্চে উঠে তিনি স্মরণ করান, নন্দীগ্রাম আন্দোলনে বিজেপি ছিল। লালকৃষ্ণ আডবাণীর অবদান ভোলার মতো নয়। তিনিই তো অবরোধ তুলেছিলেন।তবে শহিদ বেদীতে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে শুভেন্দু সময়ও মেনে চলেন। বলেন, এটা নাগরিক কর্তব্য, রাজনীতি নয়। এবং নির্দিষ্ট সময়েই মঞ্চ থেকে নেমে যান।কিন্তু শহিদ দিবসের দিনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তাঁর ক্ষোভও লুকোলেন না। বক্তব্যে শুভেন্দু বলেন, মুখ্যমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন রেসিডেন্সিয়াল স্কুলের, আজও হয়নি। আপনাকে উদ্বোধনে ডাকিনি বলে রেগে গিয়েছিলেন। কিন্তু আপনাকে কেন ডাকব? ফিরোজা বিবি আর রাধারাণী আড়িকে দিয়েছি তাঁরা তো শহিদ পরিবার।তিনি আরও অভিযোগ তোলেন, শহিদ পরিবারের কয়েকজন আজও মৃত্যুসনদ পাননি। চারজন পরিবার এখনো ক্ষতিপূরণ পায়নি, কারণ তারা বিজেপিতে এসেছে। কিন্তু আমি তাঁদের টাকা দিয়েছি। আপনি সবার মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেননি। আসল পরিবর্তন ২০১১-তে হয়নি আমরা জনগণকে নিয়েই আসল পরিবর্তন আনব।শুভেন্দুর এমন মন্তব্যে ফের নন্দীগ্রামের রাজনীতি উথাল-পাথাল। একদিকে তৃণমূলের অনুষ্ঠান, অন্যদিকে বিজেপির জবাবি কর্মসূচি এক মাঠে দুই রঙের মঞ্চ যেন ফের মনে করিয়ে দিল নন্দীগ্রামের পুরনো দিনগুলো। স্থানীয়দের মতে, আজ সৌজন্য আছে বটে, কিন্তু ভিতরে ভিতরে যুদ্ধের আগুন এখনও জ্বলছে।

নভেম্বর ১০, ২০২৫
রাজ্য

মমতা ফিরছেন উত্তরবঙ্গে, এবার কারা হাতে পাবেন ক্ষতিপূরণের চেক?

বন্যা আর বিপর্যয়ের ক্ষত এখনও পুরোপুরি শুকোয়নি। জল নেমে গিয়েছে, কিন্তু জীবনের স্রোত এখনও থমকে আছে বহু মানুষের। এমন সময় ফের একবার উত্তরবঙ্গ সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন সূত্রে খবর, আগামী সোমবার বাগডোগরার উদ্দেশে রওনা দেবেন তিনি। এই সফর ঘিরে ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে প্রশাসনের তরফে।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিলিগুড়ির উত্তরকন্যায় বসবেন এক উচ্চ পর্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠকে। ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলার জেলাশাসক ও শীর্ষ প্রশাসনিক আধিকারিকরা। নবান্নের তরফে ইতিমধ্যেই সেই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে জেলা প্রশাসনগুলিতে। সূত্র বলছে, মুখ্যমন্ত্রী বন্যা-পরবর্তী পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখবেন। জল নেমে গেলেও ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলির অবস্থা এখনও স্বাভাবিক নয় বলে খবর।উত্তরবঙ্গের সাম্প্রতিক বন্যা-বিপর্যয় ছিল ভয়াবহ। দার্জিলিং, মিরিক ও কালিম্পংয়ে তছনছ হয়ে গিয়েছিল জীবনযাত্রা। বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটেছিল, আজও অনেকেই নিখোঁজ। সেই সময় দুবার উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে মৃতদের পরিবারের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন তিনি। এবার তিনি সেই পরিবারগুলির হাতে আর্থিক সাহায্যের চেক তুলে দিতে পারেন বলেই খবর মিলেছে প্রশাসনিক সূত্রে। মুখ্যমন্ত্রী আগেই ঘোষণা করেছিলেন, বন্যায় মৃতদের পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।তবে প্রশ্ন রয়ে যায় উত্তরবঙ্গ কি ফিরেছে নিজের ছন্দে? প্রশাসনের দাবি, ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এখনও বহু মানুষ রাজ্য সরকারের দেওয়া ত্রিপল মাথায় দিয়ে দিন কাটাচ্ছেন। কেউ কমিউনিটি কিচেনের খাবারে বেঁচে আছেন, কারও এখনও ঘর নেই, নথি নেই, মাথার উপরে ছাদ নেই। বন্যার পর কেটে গিয়েছে সপ্তাহ, তবুও জীবনের চাকা ঘুরছে না আগের মতো।ফলে মুখ্যমন্ত্রীর এই সফর শুধুই প্রশাসনিক নয়, মানবিক বার্তাও বহন করছে। বন্যা-বিধ্বস্ত মানুষের পাশে থেকে তাঁদের আশ্বস্ত করাই এখন নবান্নের লক্ষ্য। রাজ্য সরকার চায়, উত্তরবঙ্গ ফের ফিরে পাক পুরনো ছন্দে।

নভেম্বর ০৭, ২০২৫
কলকাতা

মমতা ফর্ম নিলেন না—তাহলে কারা ছড়াল ভুয়ো খবর? প্রশ্নে তোলপাড় রাজ্যরাজনীতি

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘিরে বুধবার সকাল থেকেই শুরু হয় প্রবল জল্পনা। বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয় যে, মুখ্যমন্ত্রী নিজে হাতে এনুমারেশন ফর্ম নিয়েছেন ব্লক লেভেল অফিসারের (BLO) কাছ থেকে। এই খবর ছড়াতেই রাজনৈতিক মহলে হুলস্থুল পড়ে যায়। ঠিক চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে নিজেই সমস্ত গুজব উড়িয়ে দিলেন বাংলার প্রশাসনিক প্রধান।সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের সরকারি অ্যাকাউন্টে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, গতকাল দায়িত্বপ্রাপ্ত BLO আমাদের পাড়ায় এসেছিলেন তাঁদের নির্দিষ্ট কাজ করতে। তিনি কর্মসূত্রে আমার রেসিডেন্স অফিসে এসে রেসিডেন্সের কয়েকজন ভোটারের নাম জেনেছেন এবং ফর্ম দিয়ে গিয়েছেন। আমি নিজে কোনও ফর্ম পূরণ করিনি। যতক্ষণ না বাংলার প্রতিটি মানুষ ফর্ম পূরণ করছেন, ততক্ষণ আমি ফর্ম পূরণ করব না।এর পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমগুলির উদ্দেশে কড়া ভাষায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যে সমস্ত মিডিয়া জানিয়েছে আমি নিজে হাতে BLO-র কাছ থেকে এনুমারেশন ফর্ম গ্রহণ করেছি, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার।প্রসঙ্গত, বুধবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন ৩০বি হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে পৌঁছন এক BLO। নিরাপত্তারক্ষীদের যাচাই প্রক্রিয়া শেষে তিনি ভেতরে প্রবেশ করেন। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের জন্য মোট ১৭টি এনুমারেশন ফর্ম তিনি জমা রেখে যান। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, ফর্মগুলি পূরণ করে পরে জমা দেওয়া হবে। তবে মুখ্যমন্ত্রী নিজে ফর্ম পূরণ করেননি এবং সেই বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।রাজ্যে মঙ্গলবার থেকেই শুরু হয়েছে বাড়ি-বাড়ি গিয়ে এনুমারেশন ফর্ম বিলির কাজ। নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে চালু হওয়া এই ফর্ম বিতরণের মধ্য দিয়ে প্রতিটি বৈধ ভোটারের নাম হালনাগাদ করার কাজ চলছে। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আগেই দাবি করা হয়েছিল, কোনও বৈধ ভোটারের নাম যেন বাদ না যায়। কিন্তু সাম্প্রতিক কয়েকটি মৃত্যু এবং বিভ্রান্তিকর প্রচারের কারণে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াতে শুরু করে।এই প্রেক্ষাপটে মুখ্যমন্ত্রী নিজে পথে নেমে রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি করেন এবং বলেন, অযথা আতঙ্ক তৈরি করা হচ্ছে। এসআইআর নিয়ে ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। আমরা চাই, রাজ্যের প্রতিটি মানুষ ফর্ম পূরণ করুন, কাউকেই বাদ দেওয়া হবে না।রাজনৈতিক মহল মনে করছে, ফর্ম বিতর্ককে কেন্দ্র করে বিরোধীদের একাংশ রাজ্য প্রশাসনকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছেএই খবর কেবলই মিথ্যাচার, যা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।বর্তমানে BLO ফর্ম বিতর্ক রাজ্য রাজনীতির নতুন সংবেদন। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরাসরি প্রতিক্রিয়ায় পরিস্থিতি অনেকটাই স্পষ্ট। প্রশাসনিক মহল মনে করছে, মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যে ভোটারদের মধ্যে তৈরি হওয়া বিভ্রান্তি অনেকটাই কেটে যাবে।

নভেম্বর ০৬, ২০২৫
কলকাতা

ভাইফোঁটা যাওয়া কি বৃথা যায়? শেষমেশ মমতার ঘরেই ফিরলেন শোভন

দীর্ঘ সাত বছর পর আবার নিজের পুরনো দলে ফিরলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র ও তৃণমূলের একসময়ের গুরুত্বপূর্ণ মুখ শোভন চট্টোপাধ্যায়। সঙ্গে ফিরলেন তাঁর ঘনিষ্ঠ সঙ্গী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৯ সালের ১৮ অগস্টসেই দিন বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নিয়েছিলেন শোভন। আজ, ৭ বছর পর, ঠিক উল্টোপথে হাঁটলেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশীর্বাদ নিয়েই তৃণমূল ভবনে ঢুকলেন শোভন-বৈশাখী জুটি।ভবনে ঢোকার মুখে শোভনের গলায় শোনা গেল আবেগ, মমতাদির আশীর্বাদ নিয়ে আজ ফিরে এলাম। এটা আমার নিজের ঘর। যোগদানের পর সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি স্পষ্ট বলেন, এটা আমার নিজের সংসার। ঘরের ছেলে হিসেবে ফিরলাম। তৃণমূল কংগ্রেসকে আবার শক্তিশালী করব। বক্সীদা আমার ভাই, অপরূপ আমার বন্ধুওদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। যা দায়িত্ব দেবেন, নিষ্ঠা নিয়ে পালন করব।আজকের এই অনুষ্ঠান একেবারে আবেগে ভরপুর। উপস্থিত ছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী ও মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। অরূপ বলেন, ঘরের ছেলে ঘরে ফিরছে। আজ থেকে আবার মাঠে নেমে কাজ শুরু করবেন। সুব্রতবাবুও জানিয়ে দিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে শোভন ফিরছেন। বৈশাখীকেও বিশেষভাবে স্বাগত জানানো হয়।রাজনৈতিক মহলে আলোচনা চলছেনির্বাচনের মাত্র কয়েক মাস আগে শোভনের প্রত্যাবর্তন নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। তৃণমূল সরকারের প্রথম দুদশকে কলকাতার উন্নয়নের অন্যতম মুখ ছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন মেয়রের দায়িত্ব সামলেছেন, মন্ত্রিসভায় থেকেছেন। কিন্তু ২০১৮ সালে আচমকা সব পদ ছেড়ে দেন। এর পর বিজেপিতে যোগ দেন মুকুল রায়ের হাত ধরে। কিন্তু খুব বেশি দিন গেরুয়া শিবিরে সক্রিয় ছিলেন না তিনি।মজার বিষয়, তৃণমূল ছাড়লেও মমতার বাড়িতে ভাইফোঁটা নিতে প্রায় প্রতি বছরই গিয়েছেন শোভন। সেই সম্পর্কের সূত্রই যেন এবার তাঁকে ফিরিয়ে আনল ঘরের উঠোনে। সম্প্রতি এনকেডিএ-র চেয়ারম্যান পদ পাওয়ার পরই তাঁর ফেরার ইঙ্গিত মিলছিল। আজ সেটাই আনুষ্ঠানিক হল।রাজনীতির অন্দরে এখন চাপা গুঞ্জনশোভন কি আবার কলকাতা পুরসভা কিংবা শহর রাজনীতিতে বড় ভূমিকা নিতে চলেছেন? ভোটের আগে তাঁর এই প্রত্যাবর্তন কি তৃণমূলের বড় চমক? সময়ই বলবে। তবে আজ তৃণমূল ভবনে তাঁর হাসিমুখে যেন স্পষ্ট লেখাঘরের ছেলেকে ঘর ডেকেছে, আর সে ফিরেছে।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • 10
  • ...
  • 16
  • 17
  • ›

ট্রেন্ডিং

বিদেশ

ইলন মাস্ককে খোলা চিঠি ইমরান খানের প্রাক্তন স্ত্রীর, এক্সে ‘নীরব সেন্সরশিপ’-এর অভিযোগ

পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রাক্তন স্ত্রী জেমাইমা গোল্ডস্মিথ এবার সরাসরি এক্সের মালিক ইলন মাস্কের কাছে আবেদন জানালেন। তাঁর অভিযোগ, ইমরান খানের গ্রেফতারি, জেলবন্দি জীবন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা তুলে ধরার জন্য এক্স ইচ্ছাকৃত ভাবে তাঁর পোস্টের পৌঁছনো কমিয়ে দিচ্ছে।জেমাইমার দাবি, ২০২২ সালে ক্ষমতা থেকে সরানোর পর গত ২২ মাস ধরে ইমরান খান কার্যত একঘরে বন্দি অবস্থায় রয়েছেন। তাঁর কথায়, এটি কোনও সাধারণ জেল নয়, বরং রাজনৈতিক বন্দি হিসেবে নৃশংস নিঃসঙ্গ কারাবাস। এই সময়ের মধ্যে তাঁদের দুই ছেলে বাবার সঙ্গে দেখা করতে পারেনি। এমনকি মাসের পর মাস ফোনে কথা বলা বা চিঠি পাঠানোরও অনুমতি মেলেনি বলে অভিযোগ।জেমাইমা আরও জানান, পাকিস্তানের টেলিভিশন ও রেডিও থেকে ইমরান খানের নাম কার্যত মুছে ফেলা হয়েছে। তাঁর মতে, একমাত্র স্বাধীন মঞ্চ হিসেবে এক্স-ই ছিল সত্য বলার জায়গা। কিন্তু এখন সেই প্ল্যাটফর্মেও তাঁর কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।এক্স-এ করা দীর্ঘ পোস্টে জেমাইমা জানান, প্ল্যাটফর্মটির নিজস্ব এআই টুল গ্রক-এর তথ্য অনুযায়ী তাঁর অ্যাকাউন্টে গোপন থ্রটলিং করা হচ্ছে। অর্থাৎ, ইমরান খানের জেল পরিস্থিতি বা সন্তানদের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয় নিয়ে পোস্ট করলেই সেগুলি অ্যালগরিদমের মাধ্যমে আড়াল করে দেওয়া হচ্ছে। ইলন মাস্ককে উদ্দেশ করে তিনি লেখেন, আপনি মুক্ত বাক্স্বাধীনতার কথা বলেছিলেন। কিন্তু কথা বললেও যদি কেউ না শোনে, তা হলে সেটি আদৌ স্বাধীনতা নয়।জেমাইমার দাবি অনুযায়ী, তাঁর প্রায় ৩৫ লক্ষ ফলোয়ার থাকা সত্ত্বেও এক্সে তাঁর পোস্টের পৌঁছনো ভয়াবহ ভাবে কমে গিয়েছে। ২০২৩ এবং ২০২৪ সালের শুরু পর্যন্ত প্রতি মাসে তাঁর পোস্টে ৪০০ থেকে ৯০০ মিলিয়ন ইমপ্রেশন হতো। কিন্তু ২০২৫ সালে এখনও পর্যন্ত মোট ইমপ্রেশন নেমে এসেছে মাত্র ২ কোটি ৮৬ লক্ষে, প্রায় ৯৭ শতাংশ পতন।তিনি জানান, ২০২৫ সালের মে মাসে পাকিস্তানে এক্সের উপর নিষেধাজ্ঞা উঠতেই তাঁর একটি পোস্ট চার মিলিয়নের বেশি মানুষ দেখেন। কিন্তু তার পরই আবার হঠাৎ করে পোস্টের পৌঁছনো প্রায় শূন্যে নেমে যায়। জেমাইমার দাবি, গ্রক জানিয়েছে এই চাপ আসছে পাকিস্তানি প্রশাসনের দিক থেকেই, যারা ইমরান খানের পরিবারকে ঘনিষ্ঠ ভাবে নজরদারিতে রেখেছে।এই অভিযোগের পর পাশে দাঁড়িয়েছেন ব্রিটিশ সাংবাদিক পিয়ার্স মরগান। তিনি বলেন, ইমরান খানের পক্ষে কথা বলার বিষয়টি স্পষ্ট ভাবে চাপা দেওয়া হচ্ছে। মরগানের মন্তব্য, ইমরান খানের সঙ্গে যা ঘটছে তা অত্যন্ত লজ্জাজনক এবং পাকিস্তান সরকারকে তাঁর মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।এই ঘটনার মধ্যেই ইমরান খানের পরিবারের তরফে নতুন করে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। কয়েক দিন আগে তাঁর বোন আলিমা খান অভিযোগ করেন, রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা জেলে ইমরান খানকে নির্যাতন করা হচ্ছে এবং বেআইনি ভাবে একঘরে রাখা হয়েছে। তিনি জানান, গত আট মাস ধরে পরিবার নিয়মিত জেলে গেলেও তাঁদের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়নি।জেলের বাইরে জড়ো হওয়া পিটিআই সমর্থকরাও ইমরান খানের শারীরিক অবস্থা ও নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে জেলের চারপাশে কড়া পুলিশি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ক্ষমতা হারানোর পর একাধিক মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে ২০২৩ সালের অগস্ট থেকে জেলে রয়েছেন ইমরান খান। তাঁর গ্রেফতারি নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরেও প্রশ্ন উঠেছে। গত বছর রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল জানায়, ইমরান খানের আটক বেআইনি এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে। যদিও সেই অভিযোগ মানতে চায়নি পাকিস্তান সরকার।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫
দেশ

মেক্সিকোর শুল্ক-বোমা! ভারতের রফতানিতে ৫০ শতাংশ কর, পাল্টা পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিল দিল্লি

মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নেই এমন দেশগুলির পণ্যের উপর হঠাৎ আমদানি শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্তে কড়া আপত্তি জানাল ভারত। মেক্সিকোর এই একতরফা সিদ্ধান্তে ভারতীয় পণ্যের উপর কর ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। এই পরিস্থিতিতে ভারত জানিয়েছে, কূটনৈতিক আলোচনা চালু রাখার পাশাপাশি প্রয়োজন হলে রফতানিকারকদের স্বার্থ রক্ষায় উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।ভারত সরকারের বক্তব্য, কোনও আগাম আলোচনা ছাড়াই এমন শুল্ক বৃদ্ধি দুই দেশের সহযোগিতামূলক বাণিজ্য সম্পর্কের পরিপন্থী। পাশাপাশি বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থার স্বচ্ছতার নীতির সঙ্গেও এই সিদ্ধান্ত সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, মেক্সিকোর এই পদক্ষেপ ভারতের বিরুদ্ধে সরাসরি নয়, তা বোঝা গেলেও আগাম আলোচনা ছাড়া এমএফএন শুল্ক বাড়ানো বন্ধুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সম্পর্কের ভাবনার সঙ্গে খাপ খায় না।মেক্সিকোর নতুন শুল্ক কাঠামোয় মোট ১,৪৬৩টি পণ্য অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এর প্রভাব পড়বে ভারত ছাড়াও চিন, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড এবং ইন্দোনেশিয়ার মতো একাধিক এশীয় দেশের উপর। বেশির ভাগ পণ্যের ক্ষেত্রে শুল্ক প্রায় ৩৫ শতাংশ হতে পারে, যদিও কোথাও তা ৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।অপ্রত্যাশিত ভাবে ২০২৫ সালের ৩ ডিসেম্বর মেক্সিকোর অর্থনীতি মন্ত্রক ফের এই প্রস্তাব পেশ করে এবং আইন প্রণয়নের প্রক্রিয়া দ্রুত এগিয়ে নেয়। এর আগে বিভিন্ন দেশের আপত্তি ও মেক্সিকোর শিল্পমহলের চাপে এই সিদ্ধান্ত ২০২৬ সালের অগস্ট পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল।মেক্সিকো সরকার দাবি করেছে, দেশের অভ্যন্তরীণ উৎপাদনকে উৎসাহ দেওয়া এবং বাণিজ্য ঘাটতি কমানোই এই সিদ্ধান্তের মূল উদ্দেশ্য। তবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মহলের একাংশের মতে, আমেরিকার সঙ্গে ইউএসএমসিএ চুক্তি পর্যালোচনার সময় চিনের বিরুদ্ধে শুল্ক নীতি কঠোর করার চাপের সঙ্গেই এই সিদ্ধান্ত জড়িত। বিশেষ করে চিনা পণ্য ঘুরপথে আমেরিকার বাজারে ঢোকা ঠেকাতে মেক্সিকোর উপর চাপ রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।এই পরিস্থিতিতে ভারত দ্রুত পদক্ষেপ করেছে। বাণিজ্য সচিব রাজেশ আগরওয়াল ইতিমধ্যেই মেক্সিকোর অর্থনীতি মন্ত্রকের ভাইস মিনিস্টার লুইস রোসেন্দোর সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা করেছেন। খুব শীঘ্রই কারিগরি স্তরের বৈঠকও হতে পারে। এর আগেই, ২০২৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মেক্সিকোয় ভারতীয় দূতাবাস এই শুল্ক বৃদ্ধির বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়ে ভারতীয় পণ্যের জন্য বিশেষ ছাড় চেয়েছিল।বাণিজ্য দফতর জানাচ্ছে, নতুন শুল্কের প্রকৃত প্রভাব কতটা পড়বে, তা নির্ভর করবে মেক্সিকোর সরবরাহ ব্যবস্থায় ভারতীয় পণ্যের গুরুত্বের উপর এবং ভারতীয় সংস্থাগুলি করের বোঝা ভোক্তাদের উপর চাপাতে পারে কি না, তার উপর। এখনও পর্যন্ত কোন কোন পণ্য এই তালিকায় পড়ছে, তার চূড়ান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়নি।সরকারি সূত্রের স্পষ্ট বক্তব্য, ভারতীয় রফতানিকারকদের স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার অধিকার ভারত রাখে। তবে একই সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথেই এগোতে চায়।সব মিলিয়ে টানাপড়েন তৈরি হলেও ভারত জানিয়েছে, মেক্সিকোর সঙ্গে অংশীদারিত্বকে তারা গুরুত্ব দেয় এবং দুই দেশের ব্যবসা ও সাধারণ মানুষের স্বার্থে স্থিতিশীল ও ভারসাম্যপূর্ণ বাণিজ্য পরিবেশ বজায় রাখতে আগ্রহী।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫
দেশ

৪৫ বছরের বাম দুর্গ ভাঙল বিজেপি! কেরলের রাজধানীতে ইতিহাস গড়ল এনডিএ

কেরলের রাজধানী তিরুবনন্তপুরমে বড় রাজনৈতিক পরিবর্তন। পুরসভা নির্বাচনে বিজেপি-নেতৃত্বাধীন এনডিএ একক বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে এসেছে। এর ফলে টানা ৪৫ বছর ধরে চলা বামফ্রন্টের দখল ভেঙে গেল রাজধানীর কর্পোরেশনে। এই ফলাফলকে কেরলের রাজনীতিতে ঐতিহাসিক বলেই মনে করা হচ্ছে।১০১টি ওয়ার্ডের মধ্যে এনডিএ জিতেছে ৫০টিতে। শাসক বামফ্রন্ট এলডিএফ নেমে এসেছে মাত্র ২৯টি আসনে। কংগ্রেস-নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ পেয়েছে ১৯টি ওয়ার্ড। দুটি আসনে জয়ী হয়েছেন নির্দল প্রার্থীরা। এক ওয়ার্ডে প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে ভোট বাতিল হয়েছে।এই ফলের ফলে তিরুবনন্তপুরম কর্পোরেশনে সরকার গঠনের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেল এনডিএ। শহরের রাজনৈতিক সমীকরণে যে বড় পরিবর্তন এসেছে, তা স্পষ্ট বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।ফলাফলটি আরও তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ তিরুবনন্তপুরম জেলা কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা ও সাংসদ শশী থারুরের নিজের এলাকা। তাঁর ঘাঁটিতেই বিজেপির এই সাফল্য কেরলের রাজনীতিতে নতুন বার্তা দিচ্ছে বলে মত পর্যবেক্ষকদের।এখানেই শেষ নয়। কেরলের স্থানীয় নির্বাচন শেষে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য পেয়েছে এনডিএ। ত্রিপুনিথুরা পুরসভাতেও ক্ষমতা হারিয়েছে এলডিএফ, সেখানে দখল নিয়েছে বিজেপি-নেতৃত্বাধীন জোট।ফল প্রকাশের পর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে শশী থারুর বলেন, কেরলের গণতন্ত্রের জন্য এটি একটি উল্লেখযোগ্য দিন। তিনি ইউডিএফ-এর সামগ্রিক ফলের প্রশংসা করেন এবং একই সঙ্গে তিরুবনন্তপুরম কর্পোরেশনে বিজেপির ঐতিহাসিক জয়ের কথা স্বীকার করেন। থারুর বলেন, মানুষের রায়কে সম্মান জানানোই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য, সে রায় বিরোধীদের পক্ষেও গেলে। তিনি আরও জানান, দীর্ঘদিনের শাসনের বিরুদ্ধে মানুষের পরিবর্তনের ইচ্ছাই এই ফলাফলে প্রতিফলিত হয়েছে। শশী থারুরের কথায়, এলডিএফের ৪৫ বছরের শাসনের বিরুদ্ধে তিনি পরিবর্তনের ডাক দিয়েছিলেন, কিন্তু ভোটাররা অন্য একটি দলকে সেই পরিবর্তনের দায়িত্ব দিয়েছেন। সেটাই গণতন্ত্রের শক্তি।শেষে তিনি বলেন, কংগ্রেস কেরলের মানুষের জন্য কাজ চালিয়ে যাবে এবং ভাল শাসনের পক্ষে তাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫
কলকাতা

মেসি কাণ্ডে বড় ঘোষণা পুলিশের! টিকিটের টাকা ফেরাতে হবে, না হলে আইনি পদক্ষেপ

কেউ ৪ হাজার, কেউ ৮ হাজার, কেউ আবার ১০ হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কেটেছিলেন। মাসের পর মাস অপেক্ষা করেও শেষ পর্যন্ত প্রিয় ফুটবলার লিয়োনেল মেসিকে চোখের সামনে দেখতে পাননি তাঁরা। যুবভারতীতে তৈরি হওয়া চরম বিশৃঙ্খলার জন্য দর্শকদের ক্ষোভ গিয়ে পড়েছে পুলিশ ও উদ্যোক্তাদের উপর।এই পরিস্থিতিতে টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়ার কথা জানালেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, যে টিকিট বিক্রি হয়েছে, তার টাকা দর্শকদের ফেরত দেওয়া উচিত। কারণ, বহু দর্শকই মেসিকে দেখতে পাননি।ডিজি জানান, অনুষ্ঠানে ন্যূনতম টিকিটের দাম ছিল ৩৫০০ টাকা। তার সঙ্গে স্টেডিয়ামের ভিতরে জলের বোতল থেকে শুরু করে পপকর্ন পর্যন্ত চড়া দামে বিক্রি হয়েছে। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, উদ্যোক্তারা যদি টাকা ফেরতের বিষয়ে সঠিক ব্যবস্থা না নেন, তা হলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে। ইতিমধ্যেই মূল উদ্যোক্তাকে আটক করা হয়েছে এবং এই বিশৃঙ্খলার জন্য কাউকেই রেয়াত করা হবে না।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে স্টেডিয়ামের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এডিডি আইন-শৃঙ্খলা জাভেদ শামিম জানিয়েছেন, সকল দর্শক নিরাপদে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন এবং ট্রাফিক পরিস্থিতিও স্বাভাবিক হয়েছে।উল্লেখ্য, এদিন যুবভারতীতে আসার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। ফুটবল তারকা মেসির সঙ্গে দেখা করার পরিকল্পনা ছিল তাঁর। কিন্তু পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় ক্রীড়াঙ্গনে পৌঁছনোর আগেই নিজের কনভয়ের দিক ঘুরিয়ে নেন তিনি। পরে গোটা ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫
কলকাতা

ভিআইপি কালচারের বলি ফুটবলপ্রেমীরা? মেসি বিতর্কে বিজেপি-সিপিএমের তোপ

পাহাড়প্রমাণ প্রত্যাশা মুহূর্তে যেন জল হয়ে গেল। হাজার হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কেটেও প্রিয় তারকা লিয়োনেল মেসিকে ঠিকমতো দেখতে পেলেন না দর্শকরা। মেসি মাঠ ছাড়তেই সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সাধারণ মানুষের মুখে ঘুরছে একটাই কথাভিআইপি কালচারের জন্যই বঞ্চিত হল সাধারণ দর্শক। ক্ষোভে ফেটে পড়ে তছনছ হয়ে যায় যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন। ভাঙা হয় চেয়ার, তোরণ। গোটা ঘটনায় রাজনৈতিক মহলেও শুরু হয়েছে তীব্র চাপানউতোর।অব্যবস্থার জেরে মাঠে ঢুকতেই পারেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাস্তা থেকেই কনভয় ঘুরিয়ে ফিরে যেতে হয় তাঁকে। পরে মেসির কাছে ক্ষমা চেয়ে গোটা ঘটনার তদন্তে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তাতেও বিতর্ক থামেনি। একের পর এক তোপ দাগছে বিরোধীরা।বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, সাধারণ মানুষ সাড়ে তিন হাজার থেকে আট হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কিনেছেন। একশো দিনের কাজের শ্রমিকের প্রায় এক মাসের মজুরি একটি টিকিটের দামের সমান। তাঁর অভিযোগ, একদল প্রভাবশালী মানুষ মেসিকে ঘিরে রেখে সাধারণ দর্শকদের বঞ্চিত করেছেন। গোটা ঘটনাকে তিনি দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেন।বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন। তাঁর দাবি, টিকিটের কালোবাজারি হয়েছে এবং পুরো ব্যবস্থাই ছিল চরম বিশৃঙ্খল। তিনি বলেন, যাঁরা বোতল ছুড়েছেন তাঁদের মধ্যেও শাসকদলের লোকজন রয়েছেন বলে তাঁর কাছে খবর আছে। পুলিশ ভিড় নিয়ন্ত্রণে পুরোপুরি ব্যর্থ বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি।সিপিএমও এই ঘটনায় সরব। দলের নেতা মহম্মদ সেলিম বলেন, বাংলায় যেখানে অনুষ্ঠান হবে, সেখানে দুর্নীতি, কালোবাজারি আর বিশৃঙ্খলা যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। খেলাধুলো থেকে মেলাসব ক্ষেত্রেই একই ছবি দেখা যাচ্ছে বলে তাঁর অভিযোগ।এ দিকে বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গের মানুষের আবেগে আঘাত করেছে এবং ফুটবলপ্রেমীদের অপমান করেছে। সব মিলিয়ে মেসিকে ঘিরে এই বিশৃঙ্খলা শুধু মাঠেই নয়, রাজ্য রাজনীতিতেও ঝড় তুলে দিয়েছে।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫
কলকাতা

‘শুধু টাকা আর হ্যাংলামি?’ মেসি বিতর্কে আয়োজকদের তোপ কুণাল ঘোষের

দর্শকাসন থেকে একের পর এক জলের বোতল ছোড়া হল। পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে নির্ধারিত সময়ের আগেই মাঠ ছাড়তে বাধ্য হলেন লিয়োনেল মেসি। হাজার হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কেটেও প্রিয় তারকাকে দেখতে পেলেন না বহু ভক্ত। ক্ষোভে ফেটে পড়ে মাঠে নেমে ভাঙচুর শুরু করেন অনেকে। এই ঘটনার পর প্রকাশ্যে আয়োজকদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।শনিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মেসিকে সংবর্ধনা দেওয়ার কথা ছিল। আয়োজকদের দাবি অনুযায়ী সকাল ১১টা থেকেই স্টেডিয়ামে থাকার কথা ছিল মেসির। মাঠ পরিক্রমাও করার কথা ছিল তাঁর। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা ছিল শাহরুখ খানেরও। মেসি সময়মতো মাঠে পৌঁছলেও কিছুক্ষণের মধ্যেই পরিস্থিতি বদলে যায়। গ্যালারি থেকে বোতল ছোড়া শুরু হয়। চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি হয় মাঠজুড়ে।দর্শকদের অনেকেই জানান, চার মাস আগে টিকিট কেটেছেন তাঁরা। কেউ আবার ভোর ৪টে থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এত অপেক্ষা আর টাকা খরচ করেও মেসিকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ পাননি বহু মানুষ।এর পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় কুণাল ঘোষ লেখেন, আয়োজকদের ন্যূনতম পরিকল্পনাও ছিল না। তাঁর প্রশ্ন, সবটাই কি শুধু টাকা আর ব্যবসা? কেন মেসিকে ঘিরে এত লোকের ভিড় রাখা হল? কেন মাঠ পরিক্রমার সময় মেসিকে একা এগোতে দেওয়া হল না? কেন গ্যালারির দর্শকদের বঞ্চিত করা হল? কুণালের মন্তব্য, এই ঘটনা কলকাতার জন্য লজ্জাজনক।তিনি আরও লেখেন, কয়েকজনের আদিখ্যেতার জন্য পুরো আয়োজন নষ্ট হয়ে গেল। মেসিকে দেখার বদলে কেউ কেউ নিজেকে জাহির করতেই ব্যস্ত ছিলেন। কুণাল স্মরণ করিয়ে দেন, ২০১১ সালে এই যুবভারতীতেই খেলতে এসেছিলেন মেসি। তখন কর্নার ফ্ল্যাগের পাশে বসে শান্তিপূর্ণভাবে খেলা দেখেছিলেন তিনি। সেদিন কোনও বিশৃঙ্খলা হয়নি।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫
কলকাতা

মেসিকে নিয়ে মঞ্চের স্বপ্ন ভেস্তে, গাড়িতেই আটকে রইলেন শাহরুখ

শহরে আসবেন লিয়োনেল মেসি। চোখের সামনে ফুটবলের ভগবানকে দেখবেন হাজার হাজার ভক্ত। একই মঞ্চে থাকার কথা ছিল শাহরুখ খান, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও লিয়োনেল মেসির। সংবর্ধনা দেওয়ার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সব পরিকল্পনাই ছিল তৈরি। নির্ধারিত সময়েই শনিবার যুবভারতীতে অনুষ্ঠান শুরু হয়। মাঠে পৌঁছন মেসি। কিন্তু তার পরেই তৈরি হয় চরম বিশৃঙ্খলা, যা আগে কখনও দেখেননি ফুটবলপ্রেমী বাঙালি।এই অশান্ত পরিস্থিতির জেরে মাঠে ঢুকতেই পারলেন না বলিউড তারকা শাহরুখ খান। শনিবার সকালেই কলকাতায় আসেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন তাঁর ছেলে আব্রাম। শহরের এক পাঁচতারা হোটেলে আব্রামের সঙ্গে লিয়োনেল মেসি, লুইস সুয়ারেজ এবং রদ্রিগো ডিপলের সঙ্গে ছবিও তোলেন শাহরুখ। তার পর যুবভারতীর অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তাঁর।কিন্তু মেসি যখন মাঠ পরিক্রমা শুরু করেন, ঠিক তখনই গ্যালারি থেকে বোতল ছোড়া শুরু হয়। মুহূর্তের মধ্যে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। নিরাপত্তার কারণে মাঝপথেই মাঠ থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয় মেসিকে। সেই সময় গাড়িতে বসে স্টেডিয়ামের বাইরে অপেক্ষা করছিলেন শাহরুখ খান। বিশৃঙ্খলার কারণে তিনি মাঠে ঢুকতে পারেননি। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর তাঁকে ফিরে যেতে হয়।এই ঘটনার পর শহরের আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন উঠছে পুলিশ-প্রশাসন ও আয়োজকদের ভূমিকা নিয়েও। পুরো ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫
কলকাতা

মন্ত্রীরা মেসিকে দেখলেন, সেলফি তুললেন আর আমরা টাকা দিলাম! ক্ষোভে ফেটে পড়লেন দর্শকরা

যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হল। মাঠের ভিতরে ছোড়া হল চেয়ার, জলের বোতল। ক্ষুব্ধ দর্শকরা ব্যারিকেড ভেঙে মাঠে ঢুকে পড়েন। এমনকি একটি দিকের গোলপোস্টও ভেঙে ফেলা হয় বলে জানা গিয়েছে। মেসিকে সামনে থেকে দেখতে না পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন হাজার হাজার দর্শক।মাঠে উপস্থিত দর্শকদের কথায় উঠে এসেছে চরম হতাশা। এক দর্শক বলেন, মেসিকে নয়, আমরা শুধু অরূপ বিশ্বাসকেই দেখতে পেয়েছি। আর এক জনের অভিযোগ, আমাদের টাকায় সরকার মেসিকে দেখল, আমরা দেখলাম না। কেউ কটাক্ষ করে বলেন, অনিরুদ্ধ ধর আর সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে দেখতে এসেছিলাম, আর কাউকে দেখতে আসিনি।এক দর্শকের ক্ষোভ, অরূপ বিশ্বাসকে দেখলাম সেলফি তুলতে ব্যস্ত। মনে হচ্ছিল মেসির জায়গায় উনিই এই অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ। ৩ হাজার ৩৩৮ টাকা দিয়ে টিকিট কেটেছিলাম, কিন্তু এক ঝলকও মেসিকে দেখতে পেলাম না। কেউ ৪ হাজার, কেউ আবার ১০ হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কেটে এসেছিলেন। তাঁদের অভিযোগ, সাধারণ দর্শকদের থেকে মেসিকে আড়াল করে শুধু নেতা-মন্ত্রীরাই তাঁকে ঘিরে রেখেছিলেন।অনেকেই প্রশাসনের ভূমিকাকেও কাঠগড়ায় তুলেছেন। এক জন বলেন, মাঠে পুলিশ, স্তাবক আর মিডিয়ার ভিড় ছিল। সাধারণ মানুষ কিছুই দেখতে পায়নি। পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কাটা এক যুবক জানান, আগের রাত থেকেই তিনি সেই হোটেলের কাছে অপেক্ষা করছিলেন, যেখানে মেসি ছিলেন। তবুও ভগবান দর্শন হয়নি তাঁর।দর্শকদের ক্ষোভ ক্রমেই তীব্র আকার নেয়। মাঠে ওঠে চোর চোর স্লোগান। কেউ বলেন, নেতা-মন্ত্রীরা মেসিকে দেখল, সেই টাকাই তো আমরা দিয়েছি। সাঁতরাগাছির এক দর্শকের আক্ষেপ, আমরা শুধু মেসির হাতটা দেখেছি। কেউ গোটা ঘটনাকে দুর্নীতির সঙ্গে তুলনা করে বলেন, এটা স্ক্যাম ২০২৫, শতদ্রু দত্তের উদ্যোগ।শুধু রাজ্যের দর্শকরাই নন, অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে আসা এক প্রবাসী ভক্তও মেসিকে দেখতে না পেয়ে ভেঙে পড়েন। এমনকি এক রোনাল্ডো ভক্তও মেসিকে দেখতে এসে হতাশ হয়েছেন। কারও অভিযোগ, পুলিশও গালাগাল করেছে। এক দর্শকের কথায়, এত বড় লজ্জা ঢাকার জায়গা নেই। আর এক জন বলেন, মেসিকে দেখতে এসে শুধু ক্যামেরাম্যানই দেখে গেলাম।সব মিলিয়ে যুবভারতীর এই বিশৃঙ্খলা নিয়ে ক্ষোভ এখন সর্বত্র। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারও রাজ্য সরকার ও তৃণমূল কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে বলেন, মেসিকে নিয়ে গোটা বিষয়টাই মেস করে দেওয়া হল।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal